BMV- 23 AMISH TRIPATHY, AUTHOR OF SHIVA TRIOLOGY- THE IMMORTALS OF MELUHA, THE SECRET OF THE NAGAS, THE OATH OF THE VAYUPUTRAS
মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে 18ই অক্টোবর,1974 সালে জন্ম এই ভূমিপুত্র আমিষের। যিনি তাঁর চিন্তাধারার সাথে কোথাও যেন যোগসূত্র খুঁজে পান ভগবান শিব কে নিয়ে লেখা এক ইতিবৃত্যান্ত রূপরেখা টানতে। যা পুরোদস্তুর তাঁর লেখায় উগরে দিয়ে প্রথম বই প্রকাশিত করেন Immortals of Meluha।
পড়াশুনো করতে করতে মনের গভীরে কোথাও যেন দানাবাঁধে ভারতবর্ষের পৌরাণিক কাহিনীর একটা সম্যক জ্ঞান রামায়ণ, মহাভারত নিয়ে আরো গভীর ভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণে। এক অনন্ত ইতিহাস কে তুলে ধরা পৃথিবীর কাছে যা অতটাও হয়তো ঠুনকো নয়, যদি সকলের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছনো সম্ভব।
ছোটো থেকেই বাড়িতে এই পৌরাণিক কাহিনী নিয়ে আলোচনা করতে করতে ভাবনা দিদির সাথে কোথায় যেন ভাবিয়ে তুলেছিলেন নিজেকেও, তাঁর অভিমত প্রকাশের এক সদিচ্ছার আলোড়ন ঘটাতে।
শিক্ষাদীক্ষায় সে IIM, কলকাতা থেকে একজন কৃতিবান ম্যানেজমেন্ট ছাত্র হিসেবে বিশেষ পরিচিতির স্থান পান। পরবর্তী জীবন অনেক স্বাচ্ছন্দে চলে যেতে পারতো তাঁর চাকরির জায়গায়,জীবনের অনেকটাই তো প্রায় চরম শিখরে উঠে গিয়েছিলেন।
অতটাও তো বিবেকহীন মানুষ নন, অন্তত শিক্ষাদীক্ষায় যা বলে, এমন কি হোলো জীবন একেবারে এক অন্য পথে হাঁটতে শুরু করলো,আধ্যাত্বিক জগতে মোড় ঘুরিয়ে লিখতে বাধ্য করলো, সংকল্প থেকে সৃষ্টির কাহিনী Immortal of Meluha নিয়ে।
হৃত্তিক ঘটক বারবার একটা কথা বলেছেন “ভাবুন ভাবুন আর ভাবুন”, যে কোনো বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে অন্তত সেটা যদি ইতিবাচক ভাবনা হয়, সেখান থেকে অনেক গভীরেও পৌঁছনো সম্ভব।
আপনার চিন্তাধারা সাবলীল অথচ একটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত, যা অন্যকেও ভাবাতে পারে, আর সেখান থেকেই হয়তো এক সৃষ্টির সম্ভাবনাময় রহস্য বেরিয়ে আসে আর মানুষকে এক বিশ্বাসের জায়গা করে দেয়।ঠিক এটাই তো করেছেন আমিষ ত্রিপাঠি তাঁর পর পর তিনটি বইয়ে লেখার মধ্যে দিয়ে।
এক অনবদ্য সৃষ্টি Meluha তাঁর লেখার মধ্যে স্থান পেয়েছে। যদিও বিস্তারিত সম্ভব নয় তাও কিছুটা হলেও একটা ছোঁয়া থাকছে এই বইটির সম্বন্ধে।
Meluha – An ancient nearby village of Jammu & Kashmir
সূর্যবংশের মানুষদের এক নির্ভেজাল জীবন কাহিনী, যাঁরা থাকতেন কাশ্মীর ও তার সংলগ্ন এলাকারই এক বিস্তৃত গ্রাম যার নাম meluha।এই গ্রামের সকল অধিবাসী এক বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী সেটা হোলো অমরত্ব লাভ করেছেন প্রত্যেকেই।
A synopsis of “MELUHA”
শিব যাঁকে আমরা ঈশ্বর হিসেবে মেনে এসেছি এতকাল, সেই শিবকেই আমিষ ত্রিপাঠি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখিয়েছেন অথচ এক বিশেষ ক্ষমতাবান আর যাঁর কর্মফলকে উনি পরবর্তীকালে দেবাদিদেব মহাদেব শিব হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শিবের এই meluha গ্রামে প্রবেশের একটাই কারণ চন্দ্রবংশীদের অত্যাচার ও যুদ্ধ থেকে সূর্যবংশীদের বাঁচানোর একটা ঐকান্তিক প্রয়াস।তাঁর এই লেখাতে উনি বলেছেন এই গ্রামের মানুষেরা অতি শিক্ষিতই শুধু নন প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মে নিপুন। কেউ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি একজন বৈজ্ঞানিক ও ছিলেন যাঁর নাম উল্লেখ করেন বৃহস্পতি।
শিব তাঁর বাহন নন্দী কে নিয়ে মেলুহা গ্রামে যান যা সরস্বতী নদীর ধারে। সেখানে প্রবেশ করে প্রথমেই দেখা করেন সেখানকার রাজা দক্ষের সাথে যাঁর বয়স একশো আশি বছর ও রাজার প্রধান সেনা পর্বতেশ্বর ও রাজার বিশেষ উপদেষ্টা কনকলাল।রাজা দক্ষ শিবকে দেখামাত্র প্রণাম করেন ও পরক্ষনেই প্রশ্ন করেন আপনি কি আপনার নীল কণ্ঠ দেখাতে পারবেন।
শিব কালবিলম্ব না করে তৎক্ষণাৎ সেটি দেখাতেই, রাজা অতি প্রসন্ন হন আর বলেন আমি তো আপনাকেই চাইছিলাম।আপনি এখন বিশ্রাম করুন আবারও পরে কথা হবে।
পর্বতেশ্বর রাজা দক্ষের কথায় অসন্তুষ্ট হন ও বলেন আপনি এত সহজেই উনাকে ছেড়ে দিলেন কেন আমরা তো বহুকাল ধরে উনাকেই খুঁজে চলেছি।নীলকণ্ঠ উনি শুনেছি সকলের উপকারের জন্য উনি এগিয়ে আসেন আপনি না বললে উনি কেনই বা মেলুহাবাসীদের উপকারে এগিয়ে আসবেন।
বিকেলের সময় শিব তাঁর বাসস্থানের কাছে এক রাজকীয় বাগানে পায়চারি করছেন এমন সময় এক মৃদঙ্গ ঢোলের আওয়াজ উনাকে বিচলিত করেন, ঠাওর করার জন্য সেই আওয়াজের পিছন পিছন যেতেই দেখেন সতী তাঁর গুরুজীর সাথে নৃত্যের তালিম নিচ্ছেন।শিব নিজেও এই নৃত্য উপলব্ধি করতে থাকেন, এই প্রথম সতীর সাথে তাঁর পরিচয়।
পরের দিন শিব আবারও যান দক্ষ রাজার সাথে দেখা করতে, প্রশ্ন একটাই কি করে এই মেলুহাবাসীদের আয়ু এত দীর্ঘ হতে পারে এর কারণই বা কি?এই প্রশ্নের উত্তরে দক্ষ রাজা বললেন এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে সোমরস সেবনে।এটা প্রথম বানিয়েছিলেন ভগবান ব্রহ্ম ও সেটা সাতজনকে সমান ভাবে দেন।এই সাতজনই হলেন সপ্তঋষি নামে খ্যাত।
Success behind every rejection of “MELUHA “
তিনশো নব্বই পাতার এই মেলুহা লেখার এক কাল্পনিক কাহিনী আমিষ ত্রিপাঠি নানান বই থেকে সংগ্রহ করেন কখনো বেদ, কখনো পুরান আবার কখনো রামায়ণ, মহাভারত থেকে।ব্যর্থতা এতই ছিল যে কোনো পাবলিকেশন হাউস চাননি এটি প্রকাশ পাক। আমিশের একজন শুভানুধ্যায়ী এগিয়ে আসেন এই বই প্রকাশ্যে আনতে।
প্রথমে উনি এই বইয়ের শুধুই প্রথম পর্ব ইউ টিউব মারফৎ প্রকাশ করেন দর্শক কে আকৃষ্ট করার জন্য।ঠিক এরই পরে প্রথম এই মেলুহা প্রকাশ পায় 2010 সালের ফেব্রুয়ারী মাসে।মুহূর্তেই ব্যবসায়িক সাফল্য আনে, বইয়ের চাহিদা বেড়ে যায় পাঠক মহলে। ভারতবর্ষে উনি এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় পুস্তক বিক্রেতা যার 2.5 মিলিয়ন বই বিক্রীত, আর আর্থিক মূল্য এখনকার সময়ে প্রায় 60 কোটি টাকা ভারতীয় মুদ্রায়।
Award & Recognition of Amish Tripathy
2019 সালে India Today থেকে স্বীকৃতি পান পঞ্চাশ জন ভারতীয়দের মধ্যে একজন ক্ষমতাবান মানুষ হিসেবে।এই একই বছর art and literature এর ক্ষেত্রে doctorate উপাধি পান Jharkhand Rai University র তরফ থেকে।উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান পুরস্কার 2018 সালে Contribution to Indian culture।Kalinga International Literary award 2018 সালে।distinguish Alumnus Award from IIM Kolkata 2017 সালে।Forbes celebrity 100 list 2017।