BIOGRAPHY / ORGANIC FARMING

BMV-13 105 YEARS OLD R PAPPAMMAL, PADMASRI AWARD WINNER

R PAPPAMAL

A basic introduction about Pappammal how she think about life…

যে বয়সের পর মানুষ আরাম স্বাচ্ছন্দ্য , একটা সেবার প্রয়োজন বোধ করেন, জীবনের বাকি রয়ে যাওয়া দিনগুলোতে ফিরে দেখতে ইচ্ছে করে, কি করলাম বয়ে যাওয়া অতীতে?- এটাই তো একটা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বয়সকালের নামচা।

ঠিক এরই উল্টোটা করেন একজন অসাধারণ মানুষ আর নজির সৃষ্টি করে রেখে যান সবার মাঝে। আমরা সাধারনেরা কখনো তাঁর জীবন কাহিনী পড়ি কিংবা জেনে বাহবা দেই, কতজনই বা নিতে পারি তাঁর ভালো দিকগুলো,এমনকি হয়তো আমি নিজেও না। এই রকমই একজন অসাধারণ বর্ষীয়ান মহিলা পাপামাল।

আজকাল বহু চর্চিত ও আলোচিত হয়ে চলেছে ইউ টিউব, বা যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিটা মুহূর্তে মানুষের আমৃত্যু অব্দি যে সাতটা বই সবার পড়া উচিৎ এমনকি বিদ্ধজনেরাও একই কথা বলছেন।

তার মধ্যে একটা বই এইমাত্র সারা পৃথিবী জুড়ে সাড়া জাগিয়েছে লেখক Victor E. Frankl এর লেখা “Man’s Search for Meaning “। এখানে লেখক নিজেও একজন প্রায় মৃত্যুর শিকার হয়েছিলেন ও তাঁর বেঁচে থাকার একটাই উদ্দেশ্য ছিল concentration camp কি?ও মানুষের কাছে সেটা কতটা যন্ত্রনাদায়ক সে বিষয়ে অবগত করানো।

During padmashree with modiji

প্রতিটা মানুষের জীবনের চরম সত্য হোলো মৃত্যু এটা আমাদের সকলেরই জানা।কিন্ত তার আগে যেটা অপূরণ রয়ে গিয়েও মানুষ পূর্ণতা পেতে চায় মৃত্যুর আগের দিন অব্দি সেটা হোলো পরিপূর্ণতার সন্তুষ্টিকরণের শেষ মাত্রাটুকু। এই সন্তুষ্টি তখনই পূর্ণতা পায় যখন সে যে পরিস্থিতির মধ্যেই থাকুক না কেন শারীরিক অসুস্থতাই হোক, কিংবা বার্ধক্যের শিকার comfort zone থেকে পুরোমাত্রায় বিলুপ্ত করা নিজেকে যেটা আমরা অনেকেই মানতে পারিনা।

পাপ্পামাল নিয়ে বলতে গেলে আমাদের আগেই জানতে হবে অর্গানিক ফার্মিং কি? কোথা থেকে এই মহিলা জানতে পারলেন এই সম্বন্ধে আবার জানতে পেরেও কেন এগিয়ে এলেন। উনি তো এই বয়সেও এসে আরামের জীবনযাপন করতে পারতেন। আমাদের কি শিক্ষা দিচ্ছেন। পদ্মশ্রী পাবো বলে তো উনি এই কাজে নিজেকে ব্রতী করেননি তাও আবার একশো পাঁচ বছর বয়সে।

ধরে নেওয়া যাক উনি খুব বেশি হলে পঁচিশ বছর বয়সে এই কাজে উৎসাহিত হন তখন তাঁর বয়স আনুমানিক আশি বছর। অনেকটা জোর গলায় বলতে পারি অন্ততপক্ষে পঁচিশ বছর আগে অর্থাৎ 1994 সালে আমরা অনেকেই এই অর্গানিক ফার্মিং সম্বন্ধে হয়তো বা কেউই জানতাম না ।

What is Organic farming

Organic Farming

চাষ আবাদের জন্য প্রতিটা ক্ষেত্রেই যে রাসানিক সার ব্যবহার করতে হবে তার কোনো মানে নেই আর এটা ব্যবহার করলে হয়তো ফলন ভালো হবে কিন্তু গুণগত মান মোটেই উন্নত হয় না।ইউরিয়া ও DAP র বিকল্প হিসেবে এমন কিছু জৈবিক সার বানানো সম্ভব যা থেকে micro nutrients ও bacteria জমিতেই ফলানো সম্ভব আর এখান থেকেই প্রচুর পরিমানে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও নানান পোষক তত্ব বানানো সম্ভব।

How to produce a productive manures for Organic Farming…

পরিমান মত গোবর রোদে অন্ততপক্ষে চার থেকে পাঁচদিন শুকিয়ে সেটাকে হাতে ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে। এরপর আনুমানিক এক বালতি গোমূত্রের সাথে অর্ধেক বালতি গুড় মিলিয়ে প্রতিদিন ভালো করে নাড়াতে হবে।এবং এটা ঠিকমত মেলানো হয়ে গেলে তার সাথে গোবর মিলিয়ে নিতে হবে।কিছু ব্যসন বা ডাল তার সাথে মেশাতে হবে।

এটা হয়ে গেলে পরিমান মত মাটি সেটা যেন অশ্বথ গাছের মাটি, বা পুকুরের মাটি হয়, কারণ এই সকল স্থানে জীবাণু অতিরিক্ত পরিমানে পাওয়া যায়, এই মিশ্রণটার সাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে।এই মিশ্রণটাই আসলে DAP র কাজ করে। এতেই ফলন হবে একটা হৃষ্টপুষ্ট মাত্রায়।এর পর আরো বিস্তারিত একটা পদ্ধতি আছে যা দিয়ে অতি অল্প খরচেই এই অর্গানিক ফার্মিং করা সম্ভব।

Birth place of Pappammal, and a short story, daily life…..

তামিলনাড়ুর কোযেমবাটুরে 1914 সালে জন্মগ্রহণ করেন।টেকম্পত্তি নামে এক গ্রাম যেটা ভবানী নদীর ধারে অবস্থিত,সেখানে 2.5 একর জমি নিয়ে এই মহিলার বাস।সেখানে যে সমস্ত ফসল ফলান সেটা বাজরা, ডাল ও কিছু সব্জি।উনার যখন তিরিশ বছর বয়স তখন থেকেই একটা দোকান চালাতেন আর সেখান থেকেই অল্প অল্প টাকা সংগ্রহ করেন ও 2.5 একর জমি কিনে শুরু করে দেন জৈবিক চাষাবাদ।

When Pappammal was 30 years old

একবার ভাবুন কে বেশি আধুনিক আমরা নাকি এই পাপ্পামাল। আমরা যাকে আধুনিক বলি সেটা হোলো বেশ কিছু আবিষ্কৃত ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে নাড়াচাড়া করা। আর ইনি হলেন সেই অনাবিস্কৃত কে প্রানপনে ছুঁতে যাওয়ার একটা প্রতিনিয়ত চেষ্টা ও সফলতায় জৈবিক চাষাবাদ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করা।

TN কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈবিক চাষ সম্বন্ধে একটা ট্রেনিং প্রাপ্ত হন।যদিও পঞ্চায়েত রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন কিন্ত খুব একটা মনকে নাড়া দেয় নি। জীবনে একটা জিনিস বিশ্বাস করতেন মনে মনে,কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প রাস্তা নেই।সেটাতে তাঁর নিজের যেমন শারীরিক একটা বিকাশ ঘটবে, কোনো ভাবেই রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবেন না ।আর যে উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছেন সেটা দশের উপকার তো হবেই আর একটা প্রেরণার স্রোত বয়ে যাবে মানুষের মধ্যে, এই ছিল তাঁর বিশ্বাস।

প্রতিদিন রাত তিনটেতে নিয়ম করে ওঠা ও সূর্যোদয়ের আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া চাষের কাজে এটাই হোলো রোজের কাজ। এর মধ্যে রাত তিনটে থেকে চারটের মধ্যে নিজের সারাদিনের খাওয়ার তৈরী করে ফেলা। চাষের ফাঁকে নিজের খাওয়ার খেয়ে একেবারে সূর্যাস্তের পরে বাড়ি ফেরা।

সূর্যদেবতা যেন বন্ধু ছিলেন সেই ছোটকাল থেকেই, উদয়ে পাপ্পাম্মালের বাড়ি থেকে উদয়,মাঠে সারাদিন তাঁকে সাক্ষী রেখে কাজ আর সূর্যাস্তে উনারও গৃহে প্রবেশ। যেখানে প্রকাশই হোলো জীবনে চলার পথে পাথেয়, সেখানে অন্ধকার কি করে নেমে আসবে তাই হয়তো আজও 105 বছর বয়সেও উনি জীবিত।

Padmasri award winner 2021

এই বছরের শুরুতেই পদ্মশ্রী পুরস্কার পান শ্রীমতি পাপ্পাম্মাল। নিজের সাবলীল প্রাদেশিক ভাষায় বক্তৃতা রাখেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। কি শিক্ষা পেলাম আমরা তাঁর কাছ থেকে?

বয়স কখনোই জীবনে চলার পথে বাধা হতে পারে না ওটা পুরো মনের উপর । আর ইচ্ছেশক্তি টাই হোলো আসল। যত বেশি আরাম তত বেশি রোগভোগ কে স্বাগত জানানো আর মনকে সান্তনা দেওয়ার অজুহাত বয়স হয়েছে।

মন হয়তো মানে কিন্ত অলক্ষ্যে রোগের আগমন ও মৃত্যু কে হাতছানি দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। মানুষ সবই পারে শুধু মনকে প্রতিনিয়ত বলতে হবে “আমি পারি, আমি অনেক ক্ষমতার অধিকারী” ব্যস এটাই যে বলতে পারে হয়তো তারই আরেক নাম আগামীতে পদ্মশ্রী “পাপ্পাম্মাল” হবে না কে জানে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *