BIOGRAPHY

BMV-18 DASARATH MAJHI, “THE MOUNTAIN MAN”

DASARATH MAJHI

A basic introduction of Mountain man -Dasarath Majhi

দুনিয়া চিনতো না সেদিন, আশেপাশের মানুষ চিনলেও পাগল বলতো, মনের পাগলামি যেখানে থাকে, সেখানেই হয়তো একটা অদেখা স্থাপত্য তৈরী করার সংকল্প নিয়ে নেয় মানুষ মনে মনে। যাঁর কাছে অন্যেরা পাগল বলে আখ্যা পায় ।

সৌধ নির্মাণ ও তার নিরন্তন প্রয়াস,অবাস্তব কে বাস্তবে পরিণত করার আরেক নাম দশরথ মাঝি। চারিদিকে পাহাড়ের পর পাহাড় বেষ্টিত এক ছোট্ট গ্রাম বিহারে গয়া জেলায়, গ্যাহলোর গ্রাম , জন্ম 14ই জানুয়ারী 1929 সালে ।

এক অত্যন্ত গরিব মানুষ, কোনো বেলা খাবার জোটে আবার কখনো দিনের পর দিন অভূক্ত ।পরনের বস্ত্র বলতে চটের জামা, আর দড়ি দিয়ে বাঁধা টিনের চটি।মন যেখানে কঠিন সংকল্পের দানা বাঁধে সেখানে হয়তো পারিপার্শ্বিক বাঁধা বড়ই তুচ্ছ।

If Mountain is Vision, Chisel, Hammer is media for Destiny,hard work only could be the path of making even “TAJ MAHAL”

That famous mountain transform into road

360 ফিট দীর্ঘ,30ফিট প্রস্থ আর উচ্চতায় 25 ফিট, এক পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেন।মুমতাজের প্রতি ভালোবাসার তাজ, শাহজাহান তৈরী করেছিলেন 22,000 শ্রমিক নিয়ে, আর সময় নিয়েছিলেন দীর্ঘ বাইশ বছর। আর এই দশরথ মাঝি স্ত্রী ফাগুনিয়ার প্রতি ভালোবাসার শপথ নিয়ে 1960 সালে একা শুরু করেন গ্রামের পাহাড় কাটার কাজ যা সম্পন্ন করেছিলেন 1982 সালে।

একই সংকল্পের কাজ উনি ও শেষ করেছিলেন দীর্ঘ বাইশটা বছর। হয়তো নিজেও কোনোদিন জানতেন না শাহজাহানের কথা বা জানলেও ঈশ্বর সময় যে দুজনার ক্ষেত্রে একই বেঁধে দিয়েছিলেন সেটা ভাবতেও পারেননি। আমার ব্যক্তিগত মতামত দশরথ মাঝি হয়তো বা শাহজাহানের থেকে অনেকটা এগিয়ে স্মৃতি সৌধের ব্যাপারে।

Attachment & deep Affection for Wife -Falguni

Love for wife Phagunia

বিয়ের আগে দীর্ঘদিন কাটান ধানবাদ কোলিয়াড়িতে। খাদানে কয়লা ভাঙতে ভাঙতে জীবন একদিন অতিষ্ট হয়ে ওঠে তাঁর,আর দীর্ঘ সাতটা বছর কাজের পর হীরের টুকরো মন নিয়ে দশরথ মাঝি ফেরেন নিজের গ্রাম গ্যাহলোরে। মনস্থির করেন সেখানেই চাষাবাদ করে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন।

ফাল্গুনী কে সে বিয়ে করতে চায় , কিন্ত শ্বশুরমশাইয়ের আপত্তি। শহরের কে নাকি কথা দিয়েছে ফাল্গুনীর সাথে বিয়ে দিলে মেয়ের বাবা উল্টো নগদ পণ পাবেন একশো টাকা, তাতেই তাঁর আপত্তি দশরথ মাঝির হাতে মেয়েকে তুলে দিতে। কন্যাদান করতে পারেন যদি তাঁকে অতিরিক্ত দুশো টাকা নগদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন ছেলে পক্ষ।এমনিতেই দশরথ দলিত সম্প্রদায়ের লোক সেখানেও তাঁর আপত্তি।

বাবার অলক্ষ্যে কখন ফাল্গুনী চুপিসারে দশরথের সাথে মেলায় ঘুরতে গিয়ে মন দিয়ে বসে আছে। তাও আবার পাঁচ টাকা দিয়ে এক পায়ের নুপুর কিনে, আর অন্য পায়ের আগাম বায়নানামা বিয়ের পর আগামী মেলাতে কিনে দেবে বলে কথা দিয়েছেন ফাল্গুনীকে ।

সামান্য,অথচ প্রতিশ্রুতি, এই ভরসায় ফাল্গুনী চিরসখা কে আগামী জীবন সপেঁ দিয়েছে পুরোপুরি। আর এইভাবেই চলতে থাকে দাম্পত্যের সুখের জীবন।স্ত্রী ফাগুনিয়াকে ছোট্ট তাজমহল দিয়ে বলেন “এটা হোলো ভালোবাসার প্রতীক একদিন আমিও তোমার জন্য এই স্মৃতি রেখে যাবো দুনিয়ার কাছে,ফাগুনিয়া হেসে বলেন ওমা এত ছোটো!!এ আবার কেমন তাজমহল গো?”

TAJ MAHAL

Crystal Love, can be the perfect reflection, to make History…

PRISM

ইতিহাস তখনই কথা বলে, মানুষ যখন সেটা নিয়েই এক পরিষ্কার প্রতিবিম্ব তুলে ধরেন আগামী প্রজন্মের কাছে স্মৃতির উদ্দেশ্যে, যার আরেকনাম অনাবিল ভালোবাসা।দশরথ মাঝি সারাদিন নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন ক্ষরা জমিতে চাষবাসে আর বাকিটা সময় পাহাড় কাটতে নিছক একটা সামান্য ভাবনাচিন্তা নিয়ে। প্রথমে কখনোই ভাবেননি পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করবেন, সেটা একটা সামান্য স্বপ্ন। সে ভাবনা আসে কাজটা শুরু করার অনেক পরে।

প্রতিদিনের মত স্ত্রী দুপুরে আসতেন স্বামীর জন্য খাবার দিতে। একদিন স্ত্রী তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছন পাহাড়ে, যেখানে দশরথ মাঝি ছেনি ও হাতুড়ি দিয়ে একমনে একটার পর একটা পাথর ভেঙে যাচ্ছেন আনমনে, আর বলেন সেই মনের সংকল্পের কথা স্ত্রীর কাছে। উদ্দেশ্য গ্রামের লোকেদের কষ্ট হয় শহরে যেতে অনেক ঘুরে ঘুরে তাই তাঁর এই সীমাহীন, অসীম কে আরো ছোটো করে ফেলার সংকল্পের কাহিনী।

মানুষ তাঁর অবচেতন মনে যে সংকল্প করে ফেলে সেটাই হয়তো ঠাঁই পাই প্রকৃত অর্থে। তার জন্যে হয়তো তাঁকে খোয়াতে হয় প্রাণের মানুষকেও,অনেক ক্ষেত্রে তবেই হয়তো সংকল্পটা আরো দৃঢ় হয়। ঈশ্বর হয়তো এই ভাবেই পরীক্ষা নেন অসামান্য মানুষের উপর যা অনেক পরে আমরা বুঝি।

ফাগুনিয়া পাহাড় থেকে ফেরার পথে পা পিছলে পড়ে যান ও গুরুতর যখম হন।

এতই রক্তক্ষরণ হয় যে তাঁকে নিয়ে যেতে হয় বহু ঘুরে ঘুরে শহরে। তিন কিলোমিটার পথ,যা সোজাসুজি অনায়াসে পেরোনো সম্ভব, সেটা পাহাড়ের পর পাহাড় ঘুরে আশি কিলোমিটার পেরোলে তবেই পৌঁছনো সম্ভব শহরে। তাই পৌঁছতে দেরি, আর যখন পৌঁছন, ততক্ষনে সব শেষ।

Never ever depend on Almighty, might be Almighty depends on you, Your Karma decides your future

A tribute to Lord Krishna

ফাগুনিয়ার মৃত্যু এ যেন এক প্রিজমের প্রতিফলন ঘটলো রামধনু হয়ে গ্রামবাসীদের জন্যে আরেকপ্রান্তে। দণ্ডয়ামান সামনে একমাত্র বাঁধা হোলো পাহাড়, যেটা সামনে দৈত্যাকৃতি হয়ে না থাকলে হয়তো বা ফাগুনিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হতো। যে স্বপ্ন দশরথ মাঝি দেখেছিলো গ্রামের কল্যাণ অর্থে, সেটা বাধ্য করলো নিজের ক্ষেত্রে এক ভালোবাসার দৃঢ় সংকল্পের রূপরেখা টানতে। জীবন সত্যিই নাটকের চেয়েও নাটকীয়।

চললো কঠিন পথটাকে আগামী দিনের জন্য এক সরল রেখায় রূপান্তর ঘটাতে, হাতে সামান্য ছেনি আর হাতুড়ি । এ যেন এক অতিকায় দানবের সাথে মরণপণ যুদ্ধ যেটা করতেই হবে “যতক্ষণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবো না, ততক্ষন এক চুলও নিজের প্রতি ভরসার কাছে হার মানবো না”।

Struggle for one’s existence, joy for everyone

সংঘর্ষ হোলো এমন এক অবিরাম চাবিকাঠি যা নিজেকেই করতে হয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে, আর সাফল্য আসলেই সবাই একজোট হয়ে বাহবা করেন তাঁর প্রতি, এটাই পৃথিবীর নিয়ম।সংঘর্ষ এমন এক জং পড়ে যাওয়া তালা যা অবিরাম চেষ্টার চাবি দিয়ে খোলার চেষ্টা করলে তবেই খোলে। কারণ যে চাবি দিয়ে তালা বন্ধ করা যায় সেই একই চাবি দিয়েই সে তালা খোলা সম্ভব।

একবার এক সাংবাদিক তাঁর এই পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরির কথা শুনে দেখা করতে যান। নানান কথার মাঝে নিজের একটা প্রশ্ন রাখেন “আপনি কোথা থেকে মনের জোর পান এত বড় এক বিশাল কাজের চিন্তাকে বাস্তবায়িত করতে? , আমি তো এক পত্রিকা ছাপানোর ছাপাখানা খুলতে চাইলেও খুলতে পারছি না”।

মিতভাষী দশরথ মাঝি সেদিন মুচকি হেসে বলেছিলেন “একা পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরির কাজের থেকেও কি কঠিন-তোমার এই কাজ, মনটাই হোলো আসল, বাকিটা আপনা আপনিই হয়ে যায়”।

Mysterious moments, makes Historical evidence

Atlast boat comes to bank

একবার ইন্দিরা গান্ধী এসেছেন কাছের শহরে গয়ায়,সেখানে দশরথ মাঝিও গিয়েছেন। মনের ইচ্ছে তাঁকে জানাবেন যদি তাঁর আর্জি শোনেন আর কোনো সরকারী অনুদান পান।

শুনলেন ও যাওয়ার সময় নিজের পাওয়া মালা দশরথ মাঝির গলায় পড়িয়ে দিলেন, আর সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতায়, সাথে তোলা একটা ছবি যা খবরের কাগজে প্রকাশিত হয়, ব্যস এই পর্যন্তই।অশিক্ষিত হলেও সেদিন বুঝেছিলেন যেটা করতে হবে সেটা নিজেকে, উনারা আমার মত লোকজনেদের বর্তমানে বা অবর্তমানে বড়জোর একটা সম্বর্ধনা দিতে পারেন এর বেশি নয়।

1982 সাল, ফাগুনিয়ার প্রতি ভালোবাসার স্বপ্নের ভেলাকে যেদিন পাড়ে এসে ঠেকালেন দুনিয়া দেখেছিলো আর বলেছিলো “সখী ভাবনা কাহারে বলে, সখী যাতনা কাহারে বলে….. ভালোবাসা ভালোবাসা”।

মনের অদম্য ইচ্ছে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করবেন দিল্লীতে গিয়ে কিন্তু যাবেন কি ভাবে যাওয়ার পয়সা পর্যন্ত নেই।এখানেও ইতিহাস গড়লেন সেটাও যে সাধারণ মানুষ পারে না। গয়া স্টেশনে গিয়ে রেল লাইন বরাবর খালি পায়ে হাঁটা শুরু করলেন যে রেললাইন দিল্লী পর্যন্ত যায় । যদিও গিয়েছিলেন কিন্তু দেখা মেলেনি, নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছিলেন একই পথে।

Recognition from Nation for Creation

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের কাছে স্বীকৃতি পান তাঁর চেষ্টার কর্মফলের। উনি এতটাই আপ্লুত দশরথ মাঝি কে দেখে নিজের চেয়ার থেকে উঠে সেখানে উনাকে বসতে দেন।গ্রামে তাঁর নামে স্কুল হাসপাতাল, এমনকি রাস্তার নামকরণ করেন তাঁর নামে, সঙ্গে সামান্য আর্থিক অনুদান।

Donation by Chief Minister

এর পরবর্তীকালে ভারত সরকার 2016 সালে তাঁর নামে ডাক টিকিট বার করেন যদিও সেটা দেখে যেতে পারেননি।

Stamp of Dasarath Majhi

এরও পরে তাঁর নামে আবহ উন্মোচন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার।2007 সালে এই মহানুভব মানুষটির মৃত্যু হয় ক্যান্সার নামক মারণ রোগে দিল্লির AIIMS হাসপাতালে।

Statue inaugurated by CM Nitish Kumar

A biopic of Dasrath Majhi, “MANJHI THE MOUNTAIN MAN”

Manjhi Film

Ketan Mehta পরিচালিত ও নির্দেশনায় এই সিনেমা দেশে ও বিদেশে সাড়া ফেলে বিপুল পরিমানে। Nawazuddin Siddiqui মুখ্য ভূমিকায় Dasarath Majhi র চরিত্র করেন। আর স্ত্রী ফাগুনিয়ার চরিত্রে Radhika Apte। google এ Mountain Man হিসেবে বিশেষ আখ্যা পান বিশ্বজুড়ে এই মানুষটি।

একটা কথা বিশেষ ভাবে অদ্ভুত লাগে যে মানুষটা শ্রম দিয়ে, চিন্তাশক্তি কে কাজে লাগিয়ে,সারাটা জীবন অন্যের ভালো ও উপকার হোক ভেবে, নিজেকে উৎসর্গ করে দেয়। কি করে প্রশাসন বা বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকতে তাঁদের অনেকাংশ কে উপযুক্ত স্বীকৃতি দেননা। যদিও দেন সেটাও অনেক পরে মরনোত্তর। বেঁচে থেকে সম্মানিত হলে কোথাও না কোথাও তাঁর অন্তত পক্ষে আত্মার শান্তি হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *