ACCIEDENT / INSPIRATION, RUSSIAN PRESIDENT

BMV- 47 আশার আলো

এক ছোট্ট কাহিনী হয়তো আমাদের সকলেরই জানা,কিন্তু এই কাহিনী কিছুটা ক্ষীণ আলো দেখায় যিনি দেখতে পান উনিই হয়তো জীবন থেকে নতুন কিছু শেখেন ও আমাদের শেখান।কাহিনীর মূল কেন্দ্রবিন্দু একজন যুদ্ধে ফেরৎ সৈনিক কে নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেমে গেছে সৈন্যরা একে একে ফিরে আসছেন নিজের বাড়ীতে।

আমার সত্য ঘটনার গল্পের সৈনিকটিও ফিরছেন স্বগৃহে এক ক্লান্ত, শ্রান্ত ও বিধ্বস্ত মন নিয়ে।পথে উৎকণ্ঠা একটাই বাড়িতে কে বেঁচে আছেন আর কে বেঁচে নেই সম্পুর্ণটা অজানা তাই সৈন্যটি বাড়ির সামনে এসেই থমকে দাঁড়ালেন।এক চেনা পরিচিত ছবি বাড়ির সামনে এক মস্তকায় গাড়ি দাঁড়িয়ে, স্তুপাকৃতি লাশের ভিড় কিছুক্ষণের মধ্যেই তোলা হবে সেই গাড়ির উপর। থরেথরে সাজানো লাশ দুর থেকে বোঝার উপায় নেই সবাই কি মারা গেছেন নাকি এখনও সেখানে কিছুটা হলেও প্রাণের আশা আছে।

সৈন্যটি উৎকণ্ঠা আর ভয়ে এগিয়ে এলেন দেখতে তাঁর পরিচিত কেউ আছেন কিনা সেই ভিড়ে, সেখানে নিজের লোকও হয়তো থাকতে পারে।সামনে এগিয়ে যেতেই চিনতে পারেন লাশের পা দুখানি ও পরনের কাপড় দেখে ইনি আর কেউই নন উনারাই স্ত্রী।

শেষ অন্তর্জলি যাত্রার জন্য প্রস্তুত তবে তাঁকে যে সম্পূর্ণ ভাবে দেখবেন অর্থাৎ মুখ থেকে পা অবধি তার উপায় নেই।লাশের নিচে চাপা পড়ে আছেন সেই সৈনিকের স্ত্রী।সৈনিকটি হতাশায় মাটিতে বসে পড়লেন কার জন্য বাড়ি ফেরা, কিসেরই বা বাড়ি যে নেই তার জন্য এতোটা পথ এলাম যুদ্ধে যদি নিজেও শেষ হয়ে যেতাম তাহলে স্ত্রীর এমন দৃশ্য আমায় আর দেখতে হতো না।

যেহেতু নিজেই সেনা বাহিনীর জওয়ান, আর বাকি লোকজন যাঁরা সেখানে আছেন শবের স্তূপের কাজ করছেন তাঁরাও সেনাবাহিনীর লোকজন তাই উনার শেষ ইচ্ছেটুকু তাঁরাও রাখলেন।শবের স্তূপ থেকে তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ তাঁরই সামনে এনে রাখলেন।

কিন্তু কি আশ্চর্য্য শেষ প্রাণের শেষটুকু তখনও আশা ছাড়েনি হাতের আঙ্গুলগুলো তখনও হাল্কা যেন কাঁপছে,আপাদমস্তক সমস্ত শরীরটা অচৈতন্য এক রক্তমাখা লাশ।সৈনটিকে মনে করিয়ে দিল তার যুদ্ধক্ষেত্রের কথা কিন্তু এ তো নিজেরই সহধর্মিণী এখনও যে প্রাণ আছে।

উনি সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে স্ত্রীকে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে গেলেন পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে যদি কোনোভাবে প্রাণ ফেরানো সম্ভব।দীর্ঘ সেবা শুশরুসায় ও ডাক্তারদের সহযোগিতায় ফিরে পেলেন স্ত্রীর প্রাণ।

জীবন যেখানে ছিল নিভে যাওয়া প্রদীপ,সেই প্রদীপের সলতের আগায় ছিল খুবই ক্ষীণ এক আলো।সেই ক্ষীণ আলোই ধীরে ধীরে প্রাণ পেয়ে  হয়ে উঠলো এক মাতোয়ারা স্বাভাবিক প্রাণশক্তির ছন্দে।কিছুদিন পর তাঁদের পুত্র সন্তান হলো।

সেই সন্তানই বড় হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিল সেই আলো, আমাদের সকলেরই চেনা সেই নাম ভ্লাদিমির পুতিন বর্তমান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।আমরা কেউই জানি না ঈশ্বর আমাদের জন্য ঠিক কি সংকল্প করে রেখেছেন সেটা বুঝি প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরই।উনি কিছুই চান না চান শুধু একটু ধৈর্য্য আর বিশ্বাস তাঁর প্রতি।

BMV-46 মিছকানি

January 25, 2022

BMV-48 CAFE COFFEE DAY

February 5, 2022