Reincarnation

BMV-41/2 লুবধি থেকে শান্তির যাত্রাপথের এক বাস্তব পুনর্জন্মের কাহিনী (দ্বিতীয় ভাগ)

শান্তি দেবীর বর অর্থাৎ কেদারনাথ চৌবে চিঠি পাওয়া মাত্র নিজেও স্তম্ভিত এমন ঘটনায়, আবার মেয়েটি যা যা বলেছে চিঠিতে যা লেখা আছে পুরোটাই সত্য। উনার আগের স্ত্রী অর্থাৎ লুবধির জীবনকাহিনীর সাথে সম্পূর্ণটাই মিল আছে।তাই ঠিক করেন প্রথমেই নিজে যাবেন না, নিজেরই কাকার ছেলে পণ্ডিত কাঞ্জিলাল যাবেন।তাই উনারাও চিঠি পাঠান বাবু বিসন চন্দ কে, চিঠিতে মথুরা থেকে দিল্লি আসার দিন ধার্য্য করেন।

বাড়িতে আসতেই শান্তিদেবী যখন পণ্ডিত কাঞ্জিলাল কে দেখেন তখন তাঁকে বলা হয় এই হলো আপনার আসল স্বামী যাঁকে দেখার জন্য আপনি এতকাল অধীর ছিলেন উনারই নাম কেদারনাথ চৌবে।কাঞ্জিলাল বাবুকে দেখে শান্তিদেবী ইসৎ লজ্জা পেয়ে হেসে ভিতরে চলে যান আর বলেন ইনি আমার স্বামী হতে পারেন না,উনি আমারই স্বামীর ভাই পণ্ডিত কাঞ্জিলাল। বাড়ীর লোক শান্তিদেবীর কথায় স্তম্ভিত ও বিস্মিত। কোথাও যেন তাঁরাও মেলাতে পারেন না মেয়ের কথায় তবে কি তাঁর মেয়ে পুনর্জন্মেরই আরেকটা রূপ।অনেকটা রূপকথার কাহিনীর মত।পণ্ডিত কাঞ্জিলালের এমন অভিজ্ঞতা স্বীকার  আগে কোনোদিনই হননি, অথচ মেয়েটি যা যা বলছে হবহু মিলে যাচ্ছে তাঁদের বাড়ির পূর্ব ইতিহাস।

এদিকে পণ্ডিত কাঞ্জিলালের শান্তিদেবীর প্রতি উৎসুকতা এতটাই বাড়তে থাকে উনি তাঁকে তাঁর অতীতের ঘরের একটার পর একটা নানান প্রশ্ন শুরু করে দেন। বাড়িতে কটা ঘর ছিল, সেই সময়ে নিজের আসল নাম কি ছিল, কি কি গহনা বিয়েতে পেয়েছিলেন, নিকট আত্মীয়দের নাম, এমনকি আত্মীয়দের সন্তানের নাম পর্যন্ত হুবহু শান্তিদেবী বলতে থাকেন, কারা কোথায় থাকেন এক বিস্তারিত বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ।

এসব শুনে পণ্ডিত কাঞ্জিলাল শুধু বিস্মিতই নন শান্তিদেবীর কথায় রীতিমতো শিহরণ জেগে উঠেছে তাঁর।কখনো মনে মনে ঈশ্বর ভাবছেন আবার ভাবছেন ঈশ্বরই যদি হন তবে কেনো মানুষ হয়ে জন্ম নেবেন। তবে কি উনি অতিমানক।এমতাবস্থায় কাঞ্জিলাল ছুটে যান মথুরায় আর কেদারনাথ চৌবেকে শান্তিদেবীর সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।

কাঞ্জিলাল বাবু বলেন যেই বাচ্চা মেয়েটিকে তিনি দেখে এসেছেন দিল্লিতে উনি আর কেউ নয় স্বয়ং নিজেরই বৌদি লুবধি।  ইতিমধ্যেই এই খবর চাউর হয় এক দাবানলের মত দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে।একে একে লোকজন আসতে থাকে শান্তিদেবীকে দেখার তাগিদে।  এদিকে কেদারনাথ চৌবের ও মন কিছুটা হলেও উতলা হয়ে উঠেছে শান্তিদেবীর প্রতি স্ত্রী হিসেবে। আবার দেখতেও ইচ্ছে করছে যদিও শান্তিদেবী তখন একেবারেই নাবালিকা।

১২ই নভেম্বর ১৯৩৫ সাল কেদারনাথ চৌবে ও তার ছেলে ও সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে যান দিল্লিতে শান্তিদেবীর সাথে দেখা করতে। কেদারনাথ বাবুকে দেখামাত্র শান্তিদেবী চিনতে পারেন ইনিই তাঁর পূর্বজন্মের স্বামী তাই খুশিতে ও লজ্জায় মুখ রাঙা হয়ে চলে যান অন্দরমহলে।বেরিয়ে এসে বলেন ইনিই হলেন আমার আসল স্বামী আর এই ছেলেই হলো আমার নিজের সন্তান যাঁকে আমি জন্ম দিয়েছিলাম, সেই সময়ে আমার ব্যক্তিগত নাম ছিল লুবধি।

ঘরের বাকি লোকেরা শান্তিদেবীর কথায় আশ্চর্য হয়ে পড়েন।একজন তো জিজ্ঞাসা করেই বসলেন “তুমি তো বলছো সন্তান জন্মের পর আট দিনের মাথায় তুমি মারাও গিয়েছিলে। তাহলে চিনলে কি করে যে এটাই তোমার সন্তান?” ।শান্তিদেবী বলেন সেইসময় একদিনের জন্য ডাক্তার বাচ্চাকে আমার পাশে রেখেছিলেন আমি যে মা, সন্তানকে জন্ম দিয়েছি কি করে না চিনে থাকতে পারি।শান্তিদেবীর সাথে যখন ছেলে নবনিত লালের দেখা হয় তখন ছেলের বয়স দশ আর পরজন্মে মা অর্থাৎ শান্তিদেবীর বয়স তখন নয় বছর।

বাড়িতে অতিথি এসেছেন তাই শান্তিদেবীর নিজের মা এদিকে ব্যস্ত ঘরে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রান্নাঘরে ,এত দূর থেকে এসেছেন কিছু তো খাওয়ানোর প্রয়োজন আছে।সঙ্গে সঙ্গে শান্তিদেবী বলেন ” মা আমার বরের ঠিক এসব খাবার পছন্দ নয় তুমি বরং আলুর পরোঠা তৈরি করো উনার ঐ খাবারই বিশেষ পছন্দ আমি জানি”।মায়ের মনের এক অদ্ভুত অনুভূতি জাগে কি মেয়েকে জন্ম দিলাম কোনোটাই যে মেলাতে পারছি না। শান্তিদেবীর মা ও বাবা একপ্রকার বধির হয়ে বসে আছেন মেয়ের কথায়।

একটা সময়ে শান্তিদেবীকে তাঁর মা বাবা বলেন প্রয়োজনে তোমরা যদি চাও তাহলে একান্তে কথাও বলতে পারো। শান্তিদেবী তাঁর অতীতের স্বামীর সাথে কথাও বলেন। নানান পুরনো কথা শান্তিদেবী স্মৃতি চরণা করতে থাকেন আর বারে বারে অবাক হন সবই তো সত্যি কথাই বলছেন শান্তিদেবী তাই কেদারনাথ একমনে শুনেই চলেছেন তাঁর কথা।কোথাও যেন মেলাতে পারছেন না নিজেকে এই মুহূর্তে কথা বলছেন অতীতের লুবধির সাথে কিন্তু বয়সে সে তো নাবালিকা কি ভাবে স্বীকার করি এই বাচ্চা মেয়েটাই তাঁর স্ত্রী।কেদারনাথ বাবুর মনেও যে একটা মতিভ্রম হচ্ছে, ভাবনার দিকবিদিক শূন্য, সেটাই তো স্বাভাবিক যেকোনো সাধারণ মানুষের সেটা হতেই বাধ্য ,সবই যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।

কথার ফাঁকে একটা সময় শান্তিদেবী কিছুটা মনঃক্ষুন্ন হন স্বামীর প্রতি আর বলেন ” মারা যাওয়ার আগে আপনি কথা দিয়েছিলেন আর জীবনে কোনোদিন বিয়ে করবেন না তবে আবারও বিয়ে করলেন কেনো?”স্বামী নিরুত্তর কি বলবেন সত্যিই তো উনি কথা দিয়েছিলেন। তাই একটা সময় কেদারনাথ বাবু বলেই ফেলেন কি করে জানবো যে তুমি আবারও ফিরে আসবে মানুষ জন্ম নিয়ে।এমনটাও যে হয় সেটা ভাবাও তো অস্বাভাবিক।কথা বলতে বলতে এদিকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে আসে এবারে যাওয়ার পালা কেদারনাথ বাবুদের তাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

শান্তিদেবী জেদ করতে থাকেন মা বাবার কাছে আমাকে অনুমতি দাও আমি যেন আমার স্বামীর সাথে আবারও চলে গিয়ে নতুন করে তাঁর সাথে সংসার গড়ি।অনেক বুঝিয়ে মেয়েকে আশ্বস্ত করেন পরে পাঠাবেন বলে আর কেদারনাথ বাবু উনারা রওনা দেন মথুরার উদ্দেশ্যে।সেই সময় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর এতটাই প্রচার পায় যে স্বয়ং গান্ধীজির নজরে পড়ে। তাই তিনি  নিজে ডেকে পাঠান শান্তিদেবীকে।গান্ধীজি তাঁর জীবনের নানান কথা শোনেনও আবার উনিও স্তম্ভিত এমন গুছিয়ে কথা বলে মেয়েটি এটা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে না হলে সম্ভবই নয়, কিন্তু কি অদ্ভুত মেয়েটি একেবারেই নাবালিকা। ঘটনার আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানতে শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেন এমন পরিণতির ঠিক আসল সত্য কাহিনীটি কি। তাই একটা পনেরো জনের দল গঠন করেন এই কাহিনীর সত্যতা কতটা সেই বিষয়ে যাচাই করার জন্যে।

এই সময় দেশ স্বাধীনতা তখনও পাইনি ব্রিটিশ রাজ চলছে তাই খবর পৌঁছয় বিদেশেও।বিদেশ থেকে আসতে থাকেন নানান ডাক্তার এমন বাস্তব পুনর্জন্মের কাহিনীর সাক্ষী হতে।গান্ধীজির তত্বাবধানে এই পনেরো জনের কমিটিতে থাকেন পার্লামেন্টের সদস্য, কিছুজন ডাক্তার ও মনোবিদ বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও সুরক্ষা বাহিনী।

২৪শে নভেম্বর ১৯৩৫ সাল দিন ঠিক হয় সবাই একসাথে যাবেন ট্রেনে দিল্লি থেকে মথুরার উদ্দেশ্যে,কথামত রাওনাও হন তাঁরা। রাস্তায় যেতে যেতে শান্তিদেবী বলেন ট্রেন দেরি করে ছাড়াতে আমার আর মন্দির দর্শন হবে না। উনি সেই মন্দিরের কথা বলছিলেন যেটা উনার বাড়ির সংলগ্ন ,অতীতের হারিয়ে যাওয়া শ্বশুরবাড়ির। মথুরায় এই খবর পৌঁছতে সেখানেও স্টেশনে অপেক্ষমান লোকজন গিচগিচ করছে শান্তিদেবীকে চাক্ষুষ দেখবে বলে।শান্তিদেবী নিজেও বেজায় খুশি মথুরায় পৌঁছে। সবই একে একে মনে পড়ছে তাঁর।

এদিকে সুরক্ষাকর্মীরা শান্তিদেবীকে ঘিরে এগোচ্ছেন শুধু একটাই প্রশ্ন প্লাটফর্মে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উনি কাউকে চিনতে পারছেন কিনা।এমন সময় ভিড়ের মধ্যে উনি একজনকে চিনতে পারেন আর সোজা এগিয়ে তাঁকে প্রণাম করেন।সুরক্ষাকর্মীরা জিজ্ঞাসা করতেই উনি বলেন আমার বরের দাদা উনি, উনাকে আমি চিনি।

সকলে অবাক ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করাতে উনি বলেন হ্যাঁ আমি কেদারনাথ চৌবেরই বড় ভাই। এরপর সুরক্ষাকর্মীরা ঠিক করেন তাঁরা দুটো ঘোড়া টানা টমটম গাড়ীতে উঠবেন আর শান্তিদেবী যেভাবে বলবেন ঠিক তাঁরই কথামত গাড়ি এগোবে। ঠিক এমনটাই হলো পথে যেতে যেতে নিজের বাপের বাড়ি আসতেই ঘোড়াগাড়ীকে থামাতে বললেন। গাড়ি ও দাঁড়ায় এরপর বলেন আগে শ্বশুরবাড়ি যাবো তারপর নিজের মা বাপের সাথে দেখা করবো।

শ্বশুরবাড়িতে দরজা দিয়ে ঢুকতেই সুরক্ষাকর্মীরা বলেন আপনি তো বলেছিলেন দরজার সংলগ্ন একটা কুঁয়ো আছে কিন্তু এখানে তো এতসব কিছুই নেই শুধুমাত্র একটা বিশাল পাথর। ততক্ষণে কেদারবাবু বেড়িয়ে এসেছেন আর বলেন এটা সত্য আমি নিজেই ইচ্ছে করে পাথর দিয়ে ঢেকে দিয়েছি দেখা যাক শান্তিদেবীর মনে আছে কিনা।শান্তিদেবী বলেন মৃত্যুর আগে আমি এই কুঁয়োতেই প্রতিদিন স্নান করতাম সেটা ভুলি কি করে।

এরপর সুরক্ষাকর্মীরা জিজ্ঞাসা করেন আচ্ছা বলো বাথরুমটা ঠিক বাড়ির কোনদিকে? একথা শুনেই শান্তিদেবী এগিয়ে যান সেইদিকে যেদিকে বাথরুম। সেটাও ঠিক , বাড়ির সমস্ত কিছুই যেন নখদর্পণে।শেষ প্রশ্ন সুরক্ষাকর্মীদের আচ্ছা বলো তুমি কিছু পয়সাকড়ি এক গর্তে লুকিয়ে রেখেছিলে সেটা কোথায় আর টাকার অঙ্কটাই বা কত? শান্তিদেবী সোজা অন্দরমহলে যান যেই ঘরে উনি ঘুমোতেন ঠিক মাথার কাছে এক জানালা আর তারই পাশে  একটা ফুলদানি রাখা। এই ফুলদানির ঠিক নিচেই একটা গর্ত যার ভিতরে উনি কিছু টাকাপয়সা রেখেছিলেন।

  সুরক্ষাকর্মীরা পেলেন ও সেই গর্ত ,কিন্তু কোনোরূপ টাকাপয়সা না থাকাতে একটু মন খারাপ হয়ে যায় শান্তিদেবীর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বামী বলেন লুবধি মারা যেতেই আমি সমস্ত টাকাপয়সা সেখান থেকে বার করে নি নিজের প্রয়োজনে সব মিলে একেবারে দেড়শো টাকায় ছিল সেখানে সেটা ঠিক।এরপর তাঁরা শান্তিদেবীকে নিয়ে ফিরে আসেন দিল্লিতে।

আবার ও বেশ কিছুদিন পরে অন্য আরেকদল শান্তিদেবীকে নিয়ে আসেন মথুরায় এবার শ্বশুরবাড়িতে নয় আনেন বাপের বাড়িতে। বাড়িতে ঢুকতেই একটা ভুল করে বসেন এবারে মাসীকে মা বলে গলা জড়িয়ে ধরেন। ঠিক পরের মুহূর্তেই সম্বিত ফিরে পান আর বলেন আমার ভুল হয়েছিল উনি আমার মাসী, মা নন।

এরপরে অন্দরমহলে ঢোকেন আর নিজের মা বাবাকে চিনতে পারেন। সমস্ত পুরনো ঘটনা মা বাবাকে বলেন আর তাঁতে উনারা ও বুঝতে পারেন এটাই তাঁদের হারিয়ে যাওয়া লুবধি যে এখন শান্তিদেবী হিসেবে তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে। এটা বলতে বলতে তিনজনেই গলা জড়িয়ে কাঁদতে থাকেন। বিশ্বাস করতে পারেননা এমন সত্য, বিধির বিধানের কথা এমনটাও হয় মানুষের জীবনে।

সেই সময় কানাডা থেকে একজন পুনর্জন্ম বিশারদ আসেন শান্তিদেবীর সাথে দেখা করতে, উনি নানান প্রশ্নও করেন তাঁকে। শেষমেশ নানান পরীক্ষা নিরীক্ষায় একটাই সিদ্ধান্তে পৌঁছন উনি  যে শান্তিদেবী আর কেউ নয় সত্যি সত্যিই লুবধির পুনর্জন্মের আরেকটা রূপ এটা হওয়াও সম্ভব।

শান্তিদেবী কোনোদিন মথুরায় ফিরে যেতে পারেননি স্বামীর ঘরে একটাই কারণ সংবিধানের কোন ধারায় তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় স্বামীর ঘরে। এমনিতেই তিনি নাবালিকা,শান্তিদেবী নিজেও আর চাননি ফিরে যেতে ঐ যে কি মুখে যাবেন স্বামীর ঘরে যেখানে স্বামী মানুষটাই কথা রাখেননি। তাই শান্তিদেবী আজীবন অবিবাহিত থেকে যান । ১৯৮৭ সালে ২৭শে ডিসেম্বর মাত্র ৬১ বছর বয়সে উনার জীবনাবসন হয়।জানিনা আজ আবারও কি শান্তিদেবী জন্ম নিয়েছেন আরো এক অন্য নামে।পুনর্জন্ম হয় এটা সত্য এমন নজির পৃথিবীর নানান প্রান্তে আজও শোনা যায়।

প্রিয় পাঠক সত্যজিৎ রায়ের “সোনার কেল্লা” সিনেমায় মুকুলের চরিত্রের কথা মনে পড়ে ? ওটা কিন্তু এই শান্তিদেবীরই এক পুনর্জন্ম কে ঘিরে কাহিনী যেটা সত্যজিৎ বাবুকেও উৎসাহিত করেছিল এই সিনেমা করতে যা আজও আমাদের স্মৃতিতে গোটা সিনেমাটায় জ্বলজ্বল করছে। যেকোনো সৃষ্টির পেছনে একটা কাহিনী থাকে যেটা সত্য আর তাকে ঘিরেই রূপ নেই একটা বাস্তব সৃষ্টির নজির।

BMV-41/1 লুবধি থেকে শান্তির যাত্রাপথের এক বাস্তব পুনর্জন্মের কাহিনী (প্রথম ভাগ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *