POSITIVE & NEGATIVE THINKING

BMV- 61 পজিটিভ ও নেগেটিভ চিন্তাধারা, অসফল ব্যক্তিত্ব কেন পিছিয়ে থাকেন সফলতার পথে, সঠিক কেন একা, বেঠিক বরাবর দলগত

আজকাল আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়তই নানান মোটিভেশনাল ভিডিও দেখি, এই সংক্রান্ত নানান বইও পড়ি তাতে আমরা কি আদৌ পজিটিভ চিন্তাধারার মানুষ হতে পেরেছি? হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কখনোই না।কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই দেখবেন আমরা একটা জিনিষ খুবই ভালো করে রপ্ত করে নিয়েছি এই সমস্ত দেখে ও অনেকেই বলতে শুনেছি ” আমি নিজে খুবই পজিটিভ মাইন্ডেড, সারাক্ষণ পজিটিভ ভাবো দেখবে সবই জীবনের ক্ষেত্রে ঠিকঠাক হবে”।

আসলে যতক্ষণ এইসব কথাবার্তা আমরা শুনি বা দেখি ঠিক ততক্ষণই আমরা সহজ ভাবে বললে charged up থাকি।পরক্ষণেই বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনো পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আবারও ফিরে আসে সেই পরিচিত ছন্দে।হয়তো কারণ একটাই আমরা বরাবরের জন্য অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি সেই পরিচিত ছন্দে।সমালোচনায় কিংবা কারোর প্রতি কুমন্তব্যে যে ধরনের আনন্দ পাওয়া,সময় কাটানো সম্ভব সেটা আর কোথাও হয়তো সম্ভব হয়ে ওঠে না।তাই এখান থেকে বেরিয়ে আসার সহজ উপায় যেখানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দলগত আলোচনা সেখান থেকে বেরিয়ে আসা।যেখানে পাওয়ার কিছুই নেই সেখানে উপযাযক হয়ে দেওয়ারও কিছু নেই।

মোটিভেশনাল স্পীচ শুনে আমরা বেশিরভাগ মানুষ আদৌও কি কিছু শিক্ষা নিয়ে থাকি নাকি সেগুলো সাময়িক

এটা অবশ্য তাঁর নিজেরও কিছু করার নেই, এতকালের নানান জায়গা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আর তাই মুখে আওড়াতে শিখে গেছেন প্রত্যেকে। সত্যি সত্যিই নিজেকে ভাবতে ও অন্যকে বলার ক্ষেত্রেও এক বিপুল পরিমাণে অসামঞ্জস্য আছে,সেটা ঠিক বোঝা যায় নিজের ক্ষেত্রে যখন তিনি সেই পরিস্থিতির স্বীকার হন। কতজনই বা অবচেতন মনকে প্রতিনিয়তই পজিটিভ ভাবনা দিয়ে মগজস্থ করান সেটা হয়তো হাতে গুনে দশে দুই থেকে তিনজন।

কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষেরই হয়তো অবচেতন মনের ক্ষমতা কতটা সেটা সম্পর্কে অজানা।স্বয়ং আইনস্টাইন নিজেও স্বীকার করেছেন ও বলেছেন উনি উনার জীবদ্দশায় অবচেতন মনকে জাগ্রত ও উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন মাত্র পাঁচ থেকে আট শতাংশ। বিশেষত এটা এক ধরনের অভ্যেস যেটা প্রতিনিয়তই অনুশীলন বা অভ্যেসের দ্বারাই আয়ত্তে আনা সম্ভব।জীবনে যেকোনো সাফল্যের আসল চাবিকাঠিই  হলো অবচেতন মন, এই কথাটা অবশ্য ডঃ কালাম নিজেও বলেছেন তাঁর বহু লেখা বইয়ের পাতায়।

এবারে আসা যাক আপনি নিজে সত্যি কতটা পজিটিভ হয়েও সময় ভিত্তিক নেগেটিভ চিন্তাধারার ব্যক্তিত্বের স্বীকার হয়ে পড়েন মাঝেমধ্যে, কিছুটা তথ্য সহযোগে বা কিছু সংলাপ ভিত্তিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে বোঝা যাক।ঠিক এইক্ষেত্রে আপনি নিজেকেও নিচে লেখা চরিত্র হিসেবে ভাবতে পারেন ধরুন আপনি নিজে মহিম বা সুলোচনা নামে একজন চরিত্র।এবারে ধরা যাক মহিম বাবু বা সুলোচনা ম্যাডাম অত্যন্ত পজিটিভ চিন্তাধারার ব্যক্তিত্ব কথাবার্তায়।

পজিটিভ ও নেগেটিভ চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব ও বোঝার সহজ উপায়

মহিমবাবু সকাল সকাল বাড়ী থেকে অফিসের জন্য দুচাকার মোটরগাড়ি নিয়ে রওনা দিলেন।পথে নিজের সামান্য ভুলে তাড়াহুড়োয় একটা মারাত্মক বিপদ ঘটিয়ে ফেললেন ।এমনটা আপনার ও আমাদের অজান্তে অনেক সময় ঘটেও যায়।ডাক্তারের কথামত মহিম বাবুর এমন বিপদে ডান হাতের কেনি আঙ্গুলটা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রয়োজনে হয়তো সেটা বাদ ও পড়তে পারে।

বাস্তবে কিন্তু তেমনটাই হলো,নিজের মানসিক অবস্থা কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত তবে দেখতে দেখতে প্রায় মাস খানেক কেটেও গেলো মহিমবাবুর। সব পরিস্থিতির স্বীকার মেনে নিয়ে আগের মত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেন।কিন্তু প্রতিক্ষণেই এক দুশ্চিন্তা উনাকে গ্রাস করেই চলেছে যেটা অমূলক। ইসস যদি আরেকটু ডানদিকে বাইকের হান্ডেলটা হতো তাহলে তো পুরো ডানহাতটাই কেটে বাদ পড়তো এমন এক দুর্ঘটনায়।এখানেই শেষ নয় ডানহাত বাদ পড়লে আমি তো পুরোদস্তুর একজন বিকলাঙ্গ হয়ে পড়তাম।

তেমনটাই হলে মানুষের কাছে প্রত্যেকটা সময়ে সহানুভূতির চোখে পড়তে হতো।এরপরেই শুরু হতো বিকলাঙ্গ সার্টিফিকেট জোগাড় করার এক চিন্তাধারা।কে জানি চাকরিটা শেষমেশ রাখতে পারতাম কিনা, নাকি সেখান থেকেও অবসর নেওয়ার সময় চলে আসতো।জীবনটা কেমন যেন মুহূর্তে পাল্টে যেত এতটা সত্যিই ভাবিনি।এবারে ভাবুন এতটা ভাবনা কি আদৌ সত্যি ভাবার কোনো প্রয়োজন আছে অথচ আমরা কারণে অকারণে মহিমবাবুর মত এমনটাই অনেকে ভাবি ,অনেকে তো এর থেকেও বেশি ভাবনা চিন্তা করে ভাবনা চিন্তার  পাহাড় গড়ে তুলি।

ভাবতে ভাবতে অযাচিত ভাবে আমরা যতটা খারাপ হতে পারতো সেটাই ভেবে চলি আর ভয়ে শিউরে উঠি। মহিমবাবু কিন্তু নিজের অজান্তে মাত্রাতিরিক্ত ভাবতে ভাবতে একপ্রকার অবচেতন মনকে নেগেটিভ চিন্তাধারার ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন সেটা উনি নিজেও বোঝেন না। মহিমবাবু মুখে যতই বলুন না কেন উনি একজন পজিটিভ ভাবনা চিন্তা সম্পন্ন ব্যক্তি আদতে কিন্তু উনি নিজের অজান্তেই একজন নেগেটিভ চিন্তাশীল ব্যক্তি।সত্যি কথা বলতে কি আমরা কিন্তু অনেকেই ঠিক মহিমবাবুর মতই একেকজন চরিত্র।

আমরা বেশিরভাগ জন মানুষ শেষ খারাপটা কি হতে পারতো সেটাই ভাবি, কিন্তু সেই খারাপের পরিস্থিতির যে একটা শেষ মাত্রা আছে সেখান থেকে আর বেশি কিছু খারাপ হতে পারে না সেটা নিয়ে কখনোই ভাবি না যেমনটা মহিমবাবু ভাবতে পারেন না। একজন পজিটিভ চিন্তাশীল ব্যক্তি উনি যেটা করেন প্রথমেই শেষটা ভেবে নেন কতটা নিজের ক্ষেত্রে এমন বিপদের সময় খারাপ হতে পারতো যেখান থেকে আরো নিচে উনি তলিয়ে যাবেন না পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন।

আচ্ছা আমি বা আপনি নিজেরা কতটা পজিটিভ সেই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা যাক।লেখার শুরুতেই বলবো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তথ্য বলছে আমরা নিজেদের ভালোর ক্ষেত্রে একটা মাত্রা টেনে দেই যার উপর আমরা কখনোই আশা করি না,বা আশা রাখি না ,অল্পতেই সন্তুষ্টি পেয়ে থাকি। অথচ সেই একই আমি নামক মানুষটা বিপদের মাত্রা মনে মনে বাড়িয়েই চলি রেশ  টানতে আর পারলাম কই যেটার কোনো নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে না আর সত্যি কথা বলতে কি বাস্তবিক ক্ষেত্রে জীবনটা সত্যি সত্যিই অতটা খারাপও হয়না যতদূর আমরা ভাবি।এমন উক্তির ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দিয়ে চলুন  আরো একটু তলিয়ে ভাবা যাক।

প্রতিটি মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যের জন্য “WHY” খোঁজাটা বিশেষ জরুরী

ধরুন আপনি আপনার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই IAS বা IPS হওয়ার স্বপ্ন দেখান,আপনার সন্তানও আপনার ইচ্ছেতে ধরে নেওয়া যাক একমত ও শেষমেশ পৌঁছেও গেলো নিজের লক্ষ্যে।কিন্তু আরো একটু এগিয়ে গিয়ে কখনো “why” কি খোঁজার চেষ্টা করেছেন?কেন হওয়াতে শেখাচ্ছেন শুধুই কি সম্মান আর অর্থ ব্যস এতটুকুই তারপর উপরের লেখা কথামত সন্তানের জন্য মাত্রা টেনে দিলেন, আরো কি কিছু ভাবার নেই নাকি এখানেই শেষ? কেন এই সামান্য মাত্রাটুকু, আর কি মাত্রা গুলো বাড়ানো সম্ভব নয়? অথচ সেই আপনি নেগেটিভ ভাবনায় তো খারাপের কোনোরূপ মাত্রা টানেন না যখন এমনটা ঘটে।

একবার ভাবুন আপনার নিজের ইচ্ছে ও সন্তানের মাত্রাতিরিক্ত চেষ্টায় সে হয়তো IAS কিংবা IPS হলো।এরপর সে তো একজন সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব। সকলে তাকে চেনে তার নাম, যশ, খ্যাতি যেখানে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানেই আরো একটু এগিয়ে ভাবলে দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত নাগরিক হিসেবে চিন্তা করলে হতেই পারে সে একজন প্রতিষ্ঠিত মন্ত্রী হয়ে পালটে দিতে পারে দিল্লির মসনদের রূপরেখা, যা নিয়ে আপনার আমার সারাক্ষণ সমালোচনার পারদ থাকে বরাবর উর্ধ্বে রাস্তাঘাটে কেউ একবার শুরু করলেই হলো।হয়তো “TRP” নামে একটা কথা যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবর পরিচিত শব্দ আমাদের সকলের কাছে, হলফ করে বলতে পারি অনুসন্ধান বা পরিসংখ্যান নিলে এটা হয়ে থাকবে একেবারে শীর্ষে। অথচ অন্যকে পাল্টানোর কত মাথা ব্যথা আমাদের, নিজেরা কি পারিনা পাল্টাতে?

ভারতের আগামী দিনের চেহারাটা যা আপনি এতকাল বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে আড্ডা মেরে সারাক্ষণ মন্ত্রীদের নামে কুৎসা রটিয়ে গেছেন ,আপনি নিজেও তো সুন্দর এক ভারতবর্ষকে চোখের সামনে দেখতে চান।আপনি ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে IAS হওয়ার স্বপ্নের পাশাপাশি আরও তিন চার ধাপ এগিয়ে ভাবতে পারতেন না সন্তানকে আরেকটু ভাবাতে? ।সম্প্রতি একজন IAS অফিসার নাম Ashwini  Vaishnaw ভারতীয় রেলের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হয়েছেন এটা আমাদের কারোরই অজানা নয়।বেশ তো ভালই ছিলেন IAS থেকে কি প্রয়োজন ছিল ভারতীয় রেলে যোগ দিতে?

আসলে সত্যি অর্থে যাঁরা পজিটিভ চিন্তাশীল ব্যক্তি তাঁরা একটা জায়গায় পৌঁছনোর পর জীবনটাকে আরো উল্টে পাল্টে দেখেন দশের সেবায় কতটা নিজেকে নিয়োগ করা সম্ভব, আরো কি কি হওয়া সম্ভব।সত্যি কথা বলতে কি আমরা সকলেই হয়তো পজিটিভ ভাবি তবে আমার আপনার নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটা তকমা ” সাধারণ মানুষ বা আম জনতা” – কেন জানেন যিনি শুধুই একধাপ বড়জোর দুই ধাপ এগিয়ে ভাবেন।

সাফল্যের রেশ কখনোই টানবেন না ওটা ভুল, নইলে একটা সাফল্যের পরই পরবর্তী জীবনে পিছিয়ে পড়বেন

আর যাঁরা অনেকদূর অবধি ভাবতে পারেন জীবনে একটা সাফল্যের পরে থেমে না থেকে সেখানে জীবনকে উল্টেপাল্টে দেখেন আর কি কি সম্ভাব্য পথ আছে উনারাই হয়ে ওঠেন সেলিব্রিটি বা বিশেষ ধরনের ব্যক্তিত্ব।একজন পজিটিভ চিন্তাশীল ব্যক্তি একধাপ এগিয়েই থমকে গেলে হয় সাধারণ মানুষ আর যিনি কয়েকধাপ এগিয়ে যান তিনিই হন অসাধারণ ব্যক্তি ,শুধু এখানেও পজিটিভ মাইন্ডেড মানুষগুলোর চিন্তা শক্তির পার্থক্য সাধারণ মানুষদের সাথে।

জীবনে অসফলতার ও প্রয়োজন আছে ওটা একটা পথ, যেটা জীবনকে শেখায় সেই ভুল পথ ধরে পরবর্তী সময়ে না এগোতে।এটাই একটা শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা মানুষ সঞ্চয় করে সারাটা জীবন ধরে চলার পথে।তবে থেমে থাকলে চলবে না যাঁরা এই একই ভুল বারবার করেন সেখান থেকে কোনধরনের শিক্ষা নেন না বা নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন না দেখা গেছে তাঁরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসফল। একটা নাম আজকাল আমার আপনার মুখে মুখে খুবই পরিচিত তাঁর ব্র্যান্ড নেম ” Physics wala” ছেলেটির নাম অলখ পান্ডে বয়স বত্রিশের কাছাকাছি। এই মুহুর্তে ভারতবর্ষের একজন ১০১ তম Unicorn company খাঁড়া করে দিয়েছেন।

আমাদের সকলের জানা Unicorn Company হলো সে সমস্ত কোম্পানির যাঁদের টার্ন ওভার ৮০০০ কোটি টাকা উনি নিজে এই কোম্পানির কর্ণধার মাত্র দশ থেকে বারো বছর কঠিন পরিশ্রমে খাঁড়া করে ফেলেছেন এই কোম্পানি,শিক্ষাগত যোগ্যতা  বারো ক্লাস পাশ, হ্যাঁ একদমই ঠিক নিজেরাও পরখ করে দেখে নিতে পারেন তাঁর নানান ইন্টারভিউ থেকে।স্বপ্ন দেখেছিলেন টিউশন করে অর্থ রোজগার করবো কারণ ছোটবেলায় বাবার ব্যবসায় আর্থিক মন্দা থেকে সংসারে ভাঙন এমনকি বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছিল তাঁদের।

অসফলতা হলো এক শিক্ষা আর সেটাই হলো অভিজ্ঞতার এক পুঁজি বা মূলধন

ভেঙে পড়েননি তবে মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছিলেন, আরো কতটা খারাপ হতে পারে আর সেখান থেকেই চেষ্টা চালিয়ে ফিরে দাঁড়ানো সম্ভব কিনা সেটাই ছিল সেই বয়সে জীবনের লক্ষ্য।এটা বিশ্বাস ছিল যদি ঘুরে দাঁড়ায় তবে সাফল্যের চরম শিখরে উঠবো বারবার বলেছেন মাত্র এই অল্প বয়সে যেটা হয়তো আমি বা আপনি ভাবতেও পারিনা।খুব সুন্দর একটা উপমা দিয়েছিলেন যিনি অসফল তাঁর সাফল্যের জন্যে ধরে নেওয়া যাক দশ নম্বর পেতে হবে তবেই সাফল্য হাতের নাগালের মুঠোয়।

তাই প্রথমেই বললেন প্রথম সিঁড়ি চেষ্টা + সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা = অভিজ্ঞতা (সেটা হতে পারে সাফল্যের জন্য প্রাপ্ত এক নম্বর যেখানে বেশিরভাগ মানুষ ভেঙে পড়েন) আবার দ্বিতীয় চেষ্টা +ব্যর্থতা= আবারও নতুন অভিজ্ঞতা হয়তো এটা আগের থেকে আরো জোরালো অভিজ্ঞতা সেটা প্রাপ্ত নম্বর ধরে নেওয়া যাক দুই কিংবা তিন ।তাহলে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে সেটা দাঁড়ালো মোট প্রাপ্ত নম্বর তিন বা চার।এইভাবেই বারবার ব্যর্থতার সঙ্গে জোরালো অভিজ্ঞতা যেটা সাহায্য করে নেপথ্যে সাফল্যের সিঁড়িতে ওঠার, মানুষ সেটা বোঝে একেবারে সাফল্য পাওয়ার শেষ ধাপে এসে।যেদিন আপনি দশ নম্বর পেয়ে যাবেন সেদিন আসবে আপনার সাফল্য ওটা আসবেই আসবে।

তবে আপনাকে ঠিক করে ফেলতে হবে আপনি নিজে কতবার ব্যর্থ হতে রাজি সেটাই আপনার হবে সফলতার জন্য প্রাপ্ত নম্বর। শেষ কথাটা যেটা বলেছিলেন ,খুবই কম মানুষজনই থাকেন, অনেকাংশেই তাঁদের ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে জীবনের শুরুর থেকে।একজন অসফল মানুষ জীবনের যে সমস্ত ব্যর্থতার থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সফল হন তিনি পরবর্তী জীবনে শুধুই এগিয়ে থাকেন কারণ উনি ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন বহু আগেই।আর যিনি জীবন যুদ্ধে অসফল উনি অভিজ্ঞতা নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সেটা প্রকৃত অর্থে প্রয়োগ করেননি তাই শুধু পরিস্থিতি কে দোষারোপ করেন প্রতিটি মুহূর্তে তাই তিনি অসফল।

উনি আরো একটা কথা বেশ মনে ধরার মত বলেছিলেন যিনি প্রথমেই ভাবেন সফল হবেন না হলে মুষড়ে পড়েন কারণ সেটা ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা না থাকার সুবাদে।আর যিনি অসফল থেকে সফল উনি ব্যর্থতার অভিজ্ঞতাগুলো বারবার মনেমনে আওড়াতে থাকেন তাই হয়ে ওঠেন জীবনে পরবর্তী সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল।

সঠিক কেন একা বেঠিক কেনো দলগত

যদিও এই সম্পর্কে আগে আলোচনা করেছি আমারই লেখা ব্লগে তাই প্রয়োজনে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে পড়তে পারেন।তবে লেখার শেষে যে কথাটা না বললেই নয় সঠিক নিজের আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে চলে যেটা সে নিজেই জানে একা পথে চলার ক্ষেত্রে কাঁটা হয়তো আছে সেটা পেরোতে পারলেই লক্ষ্যের দিকে পৌঁছনো সম্ভব। বেঠিক বরাবর পরমুখাপেক্ষী অর্থাৎ X বা গুণিতক চিহ্ন।নিজেই বাড়ে না আরেকজনকে ও বাড়তে সাহায্য করে না তাঁরা কেবল থাকেন দলগত হয়ে ।যেখানেই নানান মাথা সেখানে লক্ষ্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব তাই তাঁরা থাকেন শুধু নিস্ফলের হতাশার দলে দলগত হয়ে। শেষমেশ বলবো কোনটা নেবেন “Choose between the pain of discipline” নাকি” Choose between pain of Regret”।

BMV-10 কোনটা ঠিক কোনটা ভুল